প্রশ্ন : জাকাতের কি কোনো নির্দিষ্ট মাস আছে, নাকি যে কোনো মাসে জাকাত আদায় করা যায়?
উত্তর : জাকাত একটি চলমান প্রক্রিয়া। ধরেন, আপনার একাউন্টে যে টাকা রেখেছেন, আজকে যদি তার এক বছর পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে আজকেই জাকাত দেবেন। সম্পদ হাতে পাওয়ার পর এক বছর যখন পূর্ণ হবে, তখনই আপনাকে জাকাতের অঙ্ক কসতে হবে, সেটা যে মাসেই পড়ুক, যে সপ্তাহেই পড়ুক, যে দিনেই পড়ুক।
কিন্তু আমাদের সমাজে একটা প্রচলন হয়ে গেছে, যাঁরা জাকাত দেন, তাঁরা রমজান মাসেই জাকাত দেন,রমজানে বেশি ফজিলত লাভের আশায়।
কিন্তু এ বিষয়ে ইসলামি চিন্তাবীদরা বলেছেন,জাকাত যদি রমজানের আগের মাস, অর্থাৎ শাবান মাসে ফরজ হয়, তাহলে রমজানের ফজিলত পাওয়ার আশায় সে জাকাত ধরে রাখা যাবেনা। কারন এটা গরিবের অধিকার, গরিবের হক। যত দ্রুত সম্ভব, নিজ দায়িত্বে তাঁদের কাছে এই টাকা পৌছে দিতে হবে।
আর যদি রমজানের পরের মাসে, অর্থাৎ শাওয়াল মাসে জাকাত ফরজ হয়, সেক্ষেত্রে রমজানের ফজিলত লাভের আশায় যদি এক মাস আগে জাকাত আদায় করে দিতে চান, দিতে পারবেন। অর্থাৎ আগে দেওয়া যাবে, কিন্তু পরে নয়।
যেমন ধরে নেই, এক বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে শাবান মাসের ২৭ তারিখে, সেক্ষেত্রে রমজান মাত্র দুদিন দেরিতে হলেও আপনি জাকাত আদায়ে এই দুদিনও দেরি করতের পারবেন না। এটাই হলো জাকাতের মাহাত্ব্য।
আবার অনেকে জাকাতে কাপড় চোপড় দিয়ে দেন, এতে কিন্তু জাকাত আদায় হবেনা। আপনার জাকাতের টাকা আপনি গরিবের হাতে উঠিয়ে দেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি কি লবণ কিনবেন, নাকি চিনি কিনবেন, নাকি ডাল কিনবেন, নাকি কাপড় কিনবেন, তাঁর সিদ্ধান্ত তিনিই গ্রহণ করবেন।